.jpeg) |
ছবি : সীতারাম ইয়েচুরি |
বিরোধী দলীয় নেতা রাহুল গান্ধী এবং তার প্রাক্তন প্রতিদ্বন্দ্বী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সহ অনেক বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ তার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন। ইয়েচুরি তার রাজনৈতিক জীবন শুরু করেন বামপন্থী ছাত্র সংগঠন স্টুডেন্ট ফেডারেশন অব ইন্ডিয়ার নেতা হিসেবে এবং ১৯৭৫ সালে ইন্দিরা গান্ধীর সরকারের জরুরি অবস্থার সময় গ্রেপ্তার হন, যখন নাগরিক অধিকার ব্যাপকভাবে সীমিত করা হয়েছিল।
মুক্তি পাওয়ার পর, তিনি দিল্লির জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্থনীতি পড়ার সময় ছাত্র সংসদের সভাপতি হন। ইয়েচুরি বিশেষভাবে ১৯৯০-এর দশকে ভারতের জোট সরকার গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন, যখন তিনি ১৩টি দলের একটি জোট গঠনে নেতৃত্ব দেন, যা ১৯৯৬ থেকে ১৯৯৮ সাল পর্যন্ত দুই প্রধানমন্ত্রী এইচডি দেবেগৌড়া এবং আইকে গুজরালের নেতৃত্বে ভারত শাসন করেছিল।
২০০৪ সালে, ইয়েচুরির দল সংসদীয় নির্বাচনে ৪৪টি আসন জিতে ঐতিহাসিক সাফল্য অর্জন করে এবং কংগ্রেসের নেতৃত্বাধীন সরকারকে সমর্থন করে। তবে, ২০০৮ সালে সিপিআই(এম) বিতর্কিত ইন্দো-মার্কিন পরমাণু চুক্তির বিরোধিতা করে তাদের সমর্থন প্রত্যাহার করে, যা ব্যাপক আলোচিত হয়েছিল। ২০১৫ সালে ইয়েচুরি সিপিআই(এম)-এর সাধারণ সম্পাদক হওয়ার সময়, দলটি পশ্চিমবঙ্গ সহ তাদের বহু পুরানো শক্ত ঘাঁটি হারিয়ে ফেলেছিল।
ইয়েচুরি ২০০৫ থেকে ২০১৭ পর্যন্ত ভারতের রাজ্যসভার সদস্য ছিলেন। রাহুল গান্ধী, ইয়েচুরির সাথে তার বন্ধুত্বের কথা স্মরণ করে, তাকে "ভারতের ধারণার রক্ষক" বলে অভিহিত করেন এবং তার প্রয়াণে শোক প্রকাশ করেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, যার তৃণমূল কংগ্রেস ২০১১ সালে বামপন্থীদের ৩৪ বছরের শাসন শেষ করেছিল, ইয়েচুরির মৃত্যুতে জাতীয় রাজনীতির জন্য একটি বড় ক্ষতি বলে উল্লেখ করেছেন।